শূন্যতায় তৃষ্ণায়

———– মুহাম্মদ আমির হোসেন
১৬.০৪.২০২৪ পল্লবী ঢাকা

শূন্যতার অনুভব যতক্ষণ থাকে
ততক্ষণ তুমি তৃষ্ণার্ত ও প্রেমিক,
দেখা যাক বা না যাক, তুমি চেয়ে থাকো
বহুদূর এগিয়ে গেলেও তুমি চেয়ে থাকো
শূন্যতায়, তৃষ্ণায়।

প্রেমিক তাকে হারায় না
না পাওয়ার শূন্যতা তাকে ধাবিত করে
না পাওয়া অব্দি তৃষ্ণায় মরে।

কতটা হারাও তুমি?
তার বেশি তার উপস্থিতি তুমি টের পাও?
অনুভব করো ভেতরের ঢেউ
সমুদ্র থেকে এসে আছড়ে পরে
কি নাম দেবে তারে; প্রেম!

প্রেমাগুনে জ্বলে জ্বলে উপযুক্ত হও
পূর্ণ স্বাদ অনুভব করো তৃষ্ণায়,
সে তোমাকে নিবিড়তা ও নীরব করে
তুমি বিন্দু হলে, সমুদ্র!
বিন্দু বিন্দু ছাড়া কিছু নয়।
যুদ্ধ হবে

——— মুহাম্মদ আমির হোসেন
১১.০৪.২০২৪ মিজমিজি নারায়ণগঞ্জ

একটা রুটির জন্য যুদ্ধ হবে
ঘামের লবন দুর্গন্ধ নিয়ে তৃষ্ণা মেটাবে,
যে হাত গুলো লুকিয়ে আছে ব্রা’র নিচে
চেতনার ঘোমটা সরিয়ে নিলে, যদি বাঁচে!
তবেই যুদ্ধ হবে।

যুদ্ধ নিয়তি, সমাপ্তি নয়
যুদ্ধ প্রতিনিয়ত চলমান সংগ্রাম,
ভাত ও রুটির সংগ্রাম, মাছ ও মাংসের সংগ্রাম,
অপুষ্টিতে ভোগা, অরুচিকর মননের দুর্ভিক্ষ
বিচার বোধ খেয়ে খেয়ে অশুভ শনির উত্থান
তাড়াতে, বজ্রধ্বনির বিভীষিকা যদি বেজে ওঠে
তবেই যুদ্ধ হবে।

শহর ও গণিকালয়ের পার্থক্য
বুঝতে পারলেই যুদ্ধ হবে,
বেশ্যালয়ের দালাল ও পুলিশের লেবাস
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
ভিখারি ও সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
দেশমাতৃকা ও পিন্নোনত ষোড়শী যুবতী
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
বিচারক ও দালালদের মেজাজ
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
চিকিৎসক ও কসাইয়ের আচরণ
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
শিক্ষকতা ও পদলেহনের প্রতিযোগীতা
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
আমলা ও ধর্ষকের কাজের ধরণ
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
বুদ্ধিজীবী ও বিবৃতিজীবীর দৃষ্টিভঙ্গি
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের কর্মোদ্যোগ
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
সমাজতন্ত্র ও পরিবার তন্ত্র
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে,
রাজনীতি, সেবা ও ব্যবসা
ভিন্ন হলেই যুদ্ধ হবে।

যুদ্ধ হবে পাড়ায় পাড়ায় চিপায় চিপায়
ভূখা রাজপথ শাসকের চোখের মণিকোঠায়
অনাহারী হাঁড়ের ধ্বণি যতক্ষণ বাকি
যুদ্ধ হবে না, রাজ কৌশল সব ফাঁকি।